২৮৫ প্রতিবন্ধীকে সরকারি প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রিট আবেদনকারীদের (প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের) সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। আদালত বলেছেন, এই রায়ের অনুলিপি গ্রহণের ৯০ দিনের মধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৪ জানুয়ারি এই রায় দেয়। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি গতকাল প্রকাশ করা হয়। রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই এবং ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রতিবন্ধী কোটা থেকে আবেদনকারী প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক পরীক্ষাতেও অংশ নেন। তবে নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য কোন সুযোগ রাখা হয়নি, ফলে তাঁরা ২০২২ ও ২০২৩ সালে পৃথক চারটি রিট করেন।

প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল দেন এবং চারটি রিটের উপর একসঙ্গে শুনানি শেষে চূড়ান্ত রায় দেন।

রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ শুনানি করেন। আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে শারীরিক, দৃষ্টি, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী প্রার্থীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালে প্রতিবন্ধী কোটা বাতিল হলেও ১০ শতাংশ কোটা প্রযোজ্য ছিল। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও ১৯৯৭ সালের পরিপত্র অনুযায়ী, প্রতিবন্ধীরা এই কোটা সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। অথচ চূড়ান্ত ফলাফলে তাঁদের জন্য কোটাও নিশ্চিত করা হয়নি, যা তাঁদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।

হাইকোর্টের এই রায় যুগান্তকারী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এর বাস্তবায়ন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url