কোন পদ্ধতিতে ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ হবে
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ফলাফল প্রস্তুতির জন্য প্রতিটি বিষয়ের মোট নম্বর ১০০ নির্ধারিত হয়েছে। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে ধারাবাহিক বা শিখনকালীন মূল্যায়নের জন্য ৩০ শতাংশ এবং লিখিত বার্ষিক পরীক্ষার জন্য ৭০ শতাংশ গুরুত্ব থাকবে।
প্রতিটি বিষয়ের জন্য ধারাবাহিক মূল্যায়নে বরাদ্দকৃত ৩০ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষার ১০০ নম্বরের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর বার্ষিক ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। এই জন্য ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৭০ শতাংশ যোগ করা হবে।
উদাহরণ: যদি বাংলা বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়নে শিক্ষার্থী ‘ক’ ৩০ নম্বরের মধ্যে ২৫ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮০ নম্বর পায়, তাহলে তার বার্ষিক ফলাফল হবে:
- ধারাবাহিক মূল্যায়নে: ২৫
- লিখিত পরীক্ষায়:
মোট:
এই ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ‘ক’ এর জিপি (Grade Point) হবে ৫.০০ এবং লেটার গ্রেড হবে A+।
নম্বর, গ্রেড পয়েন্ট ও লেটার গ্রেডের পরিসর:
প্রাপ্ত নম্বর | গ্রেড পয়েন্ট | লেটার গ্রেড |
---|---|---|
৮০-১০০ | ৫.০০ | A+ |
৭০-৭৯ | ৪.০০ | A |
৬০-৬৯ | ৩.৫০ | A– |
৫০-৫৯ | ৩.০০ | B |
৪০-৪৯ | ২.০০ | C |
৩৩-৩৯ | ১.০০ | D |
০০-৩২ | ০.০০ | F |
একটি বিষয়ে সর্বনিম্ন D গ্রেড পেলে শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে, যদি কোনো শিক্ষার্থী ৩ বা তার বেশি বিষয়ে D গ্রেড পায়, তবে সে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে পারবে না।
TNX