স্তন ক্যান্সার কেন হয় ও প্রতিরোধের উপায় জেনে নিন । Why breast cancer occurs and how to prevent it

 

স্তন ক্যান্সার একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, এবং এর কারণগুলো নানা রকম হতে পারে। কিছু মূল কারণ হলো:

  1. জেনেটিক ফ্যাক্টর: BRCA1 এবং BRCA2 জিনের মিউটেশন।
  2. হরমোনের প্রভাব: এস্ট্রোজেনের উচ্চ স্তর।
  3. বয়স: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  4. পরিবারিক ইতিহাস: পূর্ববর্তী পরিবারের সদস্যদের ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বেশি।
  5. লাইফস্টাইল: ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি।

প্রতিরোধের উপায়

  1. নিয়মিত স্ক্রিনিং: mammogram এবং স্ব-পরীক্ষা।
  2. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: ব্যায়াম করা, সঠিক খাদ্যগ্রহণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ।
  3. ধূমপান এবং অ্যালকোহল কমানো: এগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
  4. হরমোন থেরাপি সংক্রান্ত তথ্য: হরমোন থেরাপির প্রভাব সম্পর্কে জানুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন।
  5. গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা: প্রথম গর্ভাবস্থা ৩০ বছরের আগে হলে ঝুঁকি কিছুটা কমে যায়।
  6. স্তনদুগ্ধ পোষণ: এটি স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা যথাসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো সন্দেহ থাকে, দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন কিছু কারণ ও অভ্যাস হলো

  1. ধূমপান: ধূমপান স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

  2. অতিরিক্ত অ্যালকোহল: দিনে একাধিক পানীয় গ্রহণ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

  3. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: প্রক্রিয়াজাত খাবার, চর্বিযুক্ত এবং সুগারযুক্ত খাবার বেশি খেলে ঝুঁকি বাড়ে।

  4. শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: বসে থাকা জীবনযাপন এবং কম শারীরিক কার্যকলাপ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

  5. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা: বিশেষ করে মেনোপজের পর অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

  6. হরমোনাল থেরাপি: দীর্ঘ মেয়াদী হরমোনাল থেরাপি গ্রহণ করলে ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

  7. পরিবারিক ইতিহাস: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার থাকলে ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

  8. মাসিক ঋতুস্রাবের শুরুর বয়স: খুব কম বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হলে এবং দেরিতে মেনোপজ হলে ঝুঁকি বাড়তে পারে।

  9. গর্ভাবস্থার অভাব: গর্ভবতী না হওয়া বা প্রথম গর্ভাবস্থা ৩০ বছর বয়সের পরে হলে ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এগুলো ছাড়াও কিছু অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা এবং জীবনযাত্রার অভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url