করলার চাষের বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড় দমনের উপায় | কি ঔষধ স্প্রে করবেন
করলার চাষে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা। এখানে কিছু প্রধান রোগ, পোকামাকড় এবং সেগুলি দমনের উপায় তুলে ধরা হলো:
রোগসমূহ
ফাঙ্গাল রোগ (পাউডারি মিলডিউ):
- লক্ষণ: পাতায় সাদা বা ধূসর দাগ।
- দমন পদ্ধতি:
- ফংসিড স্প্রে: ম্যানকোজেব, কপার অক্সিক্লোরাইড।
- প্রাকৃতিক উপায়: দুধ ও পানির মিশ্রণ।
ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট:
- লক্ষণ: গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং শুকিয়ে যায়।
- দমন পদ্ধতি:
- আক্রান্ত গাছ অপসারণ করুন।
- বিকল্প: ব্যাকটেরিয়াল স্প্রে।
প্যানডালয় (চূর্ণ ময়লা):
- লক্ষণ: পাতা ও ফলের মধ্যে বাদামী দাগ।
- দমন পদ্ধতি:
- ফংসিড স্প্রে: ক্যার্বেন্ডাজিম।
পোকামাকড়
করলা কীট (অফিড):
- লক্ষণ: পাতা কুঁচকে যায়, লেপ্টোসেনা।
- দমন পদ্ধতি:
- অ্যাক্যারিসাইড স্প্রে: ইমিডাক্লোপ্রিড।
থ্রিপস:
- লক্ষণ: পাতায় সাদা রেখা বা দাগ।
- দমন পদ্ধতি:
- পেস্টিসাইড স্প্রে: প্রোটেক্সিফেন।
মাইনিং পোকা:
- লক্ষণ: পাতার মধ্যে সাদা দাগ।
- দমন পদ্ধতি:
- জৈব পদ্ধতি: সাদা মাকড় দিয়ে আক্রান্ত গাছের পাতা অপসারণ।
স্প্রে করার নির্দেশনা
- স্প্রে করার আগে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন।
- সকাল বা সন্ধ্যায় স্প্রে করুন, যাতে সূর্যের তাপ কম থাকে।
- প্রতি ১০-১৫ দিনে একটি স্প্রে করা উচিত।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- স্বাস্থ্যকর চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
- নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন এবং দ্রুত চিকিৎসা করুন।
করলার চাষে স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কমবে।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url