করলার চাষের বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড় দমনের উপায় | কি ঔষধ স্প্রে করবেন

 

করলার চাষে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা। এখানে কিছু প্রধান রোগ, পোকামাকড় এবং সেগুলি দমনের উপায় তুলে ধরা হলো:

রোগসমূহ

  1. ফাঙ্গাল রোগ (পাউডারি মিলডিউ):

    • লক্ষণ: পাতায় সাদা বা ধূসর দাগ।
    • দমন পদ্ধতি:
      • ফংসিড স্প্রে: ম্যানকোজেব, কপার অক্সিক্লোরাইড।
      • প্রাকৃতিক উপায়: দুধ ও পানির মিশ্রণ।
  2. ব্যাকটেরিয়াল উইল্ট:

    • লক্ষণ: গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং শুকিয়ে যায়।
    • দমন পদ্ধতি:
      • আক্রান্ত গাছ অপসারণ করুন।
      • বিকল্প: ব্যাকটেরিয়াল স্প্রে।
  3. প্যানডালয় (চূর্ণ ময়লা):

    • লক্ষণ: পাতা ও ফলের মধ্যে বাদামী দাগ।
    • দমন পদ্ধতি:
      • ফংসিড স্প্রে: ক্যার্বেন্ডাজিম।

পোকামাকড়

  1. করলা কীট (অফিড):

    • লক্ষণ: পাতা কুঁচকে যায়, লেপ্টোসেনা।
    • দমন পদ্ধতি:
      • অ্যাক্যারিসাইড স্প্রে: ইমিডাক্লোপ্রিড।
  2. থ্রিপস:

    • লক্ষণ: পাতায় সাদা রেখা বা দাগ।
    • দমন পদ্ধতি:
      • পেস্টিসাইড স্প্রে: প্রোটেক্সিফেন।
  3. মাইনিং পোকা:

    • লক্ষণ: পাতার মধ্যে সাদা দাগ।
    • দমন পদ্ধতি:
      • জৈব পদ্ধতি: সাদা মাকড় দিয়ে আক্রান্ত গাছের পাতা অপসারণ।

স্প্রে করার নির্দেশনা

  • স্প্রে করার আগে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন।
  • সকাল বা সন্ধ্যায় স্প্রে করুন, যাতে সূর্যের তাপ কম থাকে।
  • প্রতি ১০-১৫ দিনে একটি স্প্রে করা উচিত।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • স্বাস্থ্যকর চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
  • নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন এবং দ্রুত চিকিৎসা করুন।

করলার চাষে স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কমবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url