মুমিনের বিরুদ্ধে করা চক্রান্ত আল্লাহ প্রতিহত করবেন ।

 

শান্তি ও মুক্তির সহজ ও নিশ্চিত পথ হলো ইসলাম। এই সফলতার জন্য কয়েকটি অপরিহার্য গুণাবলি বা শর্ত মেনে চলা জরুরি, যেমন বিশ্বাস, সৎকর্ম, সত্যের উপদেশ মেনে চলা এবং ধৈর্যের চর্চা।

আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘সময়ের শপথ! মানুষ নিঃসন্দেহে ক্ষতির মধ্যে রয়েছে, তবে তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে এবং একে অপরকে সত্য ও ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা আসর, আয়াত ১-৩)

সত্য ও কল্যাণের পথে বাধা ও শয়তানি চক্রান্ত চিরন্তন। শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু, যা সবসময় মানুষকে বিপথগামী করার চেষ্টা করে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত ৫; সুরা ইসরা, আয়াত ৫৩; সুরা আরাফ, আয়াত ২২)

আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত ১৬৮ ও ২০৮; সুরা আনাম, আয়াত ১৪২)

শয়তান নানা ষড়যন্ত্র করে মানুষকে বিপথে নিতে চায়, তবে আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী হলে আল্লাহ সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেন। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তারা চক্রান্ত করে, আর আল্লাহ তা প্রতিহত করেন। আল্লাহ সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ৫০ ও ৫৪; সুরা ইবরাহিম, আয়াত ৪০)

ইসলামে সফলতার জন্য দুটি প্রধান গুণাবলি হলো ঈমান ও সৎকর্ম। একে অপরকে সত্যের উপদেশ দেওয়া ও ধৈর্য ধারণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধারণ করো এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৩)

ঐক্য ও সহনশীলতার জন্য আল্লাহর পথে সংগ্রাম ও পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সব বিষয়ে পরামর্শ করো; তারপর দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করলে আল্লাহর ওপর ভরসা করো।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৫৯)

— মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url