ইসলামের শত্রু আবু জাহেলের মা সাহাবি ছিলেন বিস্তারিত ।

 


ইসলামের অন্যতম শত্রু আবু জাহেল, যার বাবার নাম ছিল হিশাম ইবনুল মুগীরা। হিশাম ছিলেন পৌত্তলিক, এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর নবুয়াত লাভের আগেই তিনি ইন্তেকাল করেন।

আসমা বিনতে মুখাররাবার প্রথম বিয়ে হয় হিশাম ইবনে মুগীরার সঙ্গে, যার ঘরে তাঁর দুটি ছেলে জন্ম নেয়—একজন আবু জাহেল এবং আরেকজন আল-হারিস। আবু জাহেলকে রাসুলুল্লাহ (সা.) ‘আমার উম্মতের ফেরাউন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আল-হারিস ইবনে হিশামও প্রথম দিকে ইসলামের বিরোধিতা করেন এবং বদর ও উহুদ যুদ্ধে রাসুল (সা.)–এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। তবে মক্কা বিজয়ের পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং সাহাবির মর্যাদা লাভ করেন।

হিশাম ইবনে মুগীরা ইন্তেকাল করার পর আসমা আবে রাবীয়া ইবনুল মুগীরার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সে সময় আরবে ভাইয়ের মৃত্যুর পর বিধবা ভাবিকে বিয়ের প্রচলন ছিল। আসমা ইসলাম গ্রহণ করে রাসুলের সাহাবি হওয়ার মর্যাদা অর্জন করেন, যদিও তাঁর গর্ভজাত ছেলে আবু জাহেল ইসলামের বড় শত্রু হয়ে ওঠে।

আবু জাহেল ইসলাম গ্রহণের কারণে অন্য সাহাবিদের ওপর নির্যাতন চালালেও তাঁর মায়ের প্রতি নির্যাতনের কোনো তথ্য নেই। দ্বিতীয় বিয়েতে আসমার গর্ভে দুই ছেলে এবং এক মেয়ে জন্ম নেন—আইয়্যাশ ইবনে আবি রাবীয়া, আবদুল্লাহ, এবং উম্মে হুজাইর।

আসমা মদিনায় বসবাস করতেন, এবং তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ ইয়েমেনে থাকতেন। তিনি ইয়েমেন থেকে মায়ের জন্য আতর পাঠাতেন, যা মদিনার নারীদের কাছে খুব জনপ্রিয় ছিল।

আসমা ছিলেন আবু জাহেলের মা, তবে একই সঙ্গে সাহাবি আইয়্যাশ ইবনে আবী রাবীয়া এবং হারিস ইবনে হিশামেরও মা। আবু জাহেল সারা জীবন ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং বদর যুদ্ধে নিহত হন, কিন্তু তাঁর পরিবারে ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ঘটেছিল। আবু জাহেল দুনিয়া থেকে ইসলামের আলো নিভাতে চেয়েছিল, কিন্তু তার ঘরে ইসলামের আলো প্রজ্বলিত হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url