যে মহাদেশের ২০ শতাংশের বেশি ওষুধই নকল

 

বিশ্বজুড়ে নকল ওষুধের সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইথিওপিয়ার বাহির দার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, আফ্রিকা মহাদেশের ২০ শতাংশের বেশি ওষুধই নকল। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ১ হাজার ৬৩৯টি নিম্নমানের বা নকল। নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা অ্যাকসেস টু মেডিসিন ফাউন্ডেশনের গবেষণাপ্রধান ক্লডিয়া মার্টিনেজ এ বিষয়ে বলেন, এই ফলাফল জনস্বাস্থ্যের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। নিম্নমানের বা নকল ওষুধ গ্রহণ করলে রোগীদের সঠিক চিকিৎসা হবে না, যার ফলে তারা প্রতিরোধযোগ্য রোগে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে ওষুধের সরবরাহ ব্যবস্থা জটিল ও অদক্ষ। সীমিত সংখ্যক সরবরাহকারী দেশগুলোতে ওষুধ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, ফলে বিভিন্ন দেশে সময়মতো ওষুধের অভাব দেখা দিচ্ছে।

জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাব-সাহারা আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রতিবছর নকল ও নিম্নমানের ওষুধের কারণে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, আফ্রিকায় অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিম্যালেরিয়া ওষুধের অধিকাংশই নকলভাবে বিক্রি হচ্ছে। নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল ডোজ বা উপাদান চিকিৎসাকে অকার্যকর করে দিতে পারে। বিশেষভাবে, মালাউইতে এ ধরনের নকল ওষুধের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।